বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মিথ্যা, তুমি দশ পিঁপড়া
কামড়ে দিয়েছ বিশ্বস্তভাবে
শরীর জ্বলে যাচ্ছে
সেইসাথে মন করেছ বিক্ষিপ্ত
আর তো রাখবো না পা, তোমার পায়েতে
হয়ে যেতে পার সাত সমুদ্র!

পৃথিবী'র রংগুলো মুছে যেতে শুরু করেছে
আকাশ, মাঠ কিছুই নেই আর মনের অবস্থানে
যেমনটা ছিল ... যেমনটা থাকলে একজন মানুষ
কথা বলে ওঠে, নড়েচড়ে বসে ...
কি বলবে একজন প্রতারিত, নিঃস্ব মানুষ? 
কথাগুলো সব মিথ্যের গহ্বরে বিলীন ক্রমশঃ
পুড়ে যাওয়া কাগজের স্তূপ থেকে
কুন্ডলী পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়ার একরোখা উড়ে যাওয়া
তেজের কাছে পরাজিত বাতাস বিষাক্ত অবয়বে
ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র ... 
ত্বক, চোখ, চুলে মেখে যাচ্ছে টক মাখনের মত
সতেজতাহীন একমাত্র তৈলাক্ত প্রলেপ।
ভেজা কুয়াশার রেশটুকু নেই আর
রৌদ্রের ক্রমাগত চাহনীতে ছটফট, বিক্ষত
মরুপিপাসী অভিযাত্রীর শুন্য থলেতে।
হাজার মৃত্যু আলিঙ্গনের অভিজ্ঞতা পুরে
কামড়ে বিষাদ, নিয়ে ছিদ্র হয়ে যাওয়া হ্রিৎপিন্ড
নষ্ট মানুষের অব্যর্থ সুখপ্রস্তাব
দগ্ধ সাজানো আভিজাত্যে
সাপের পালটানো খোলসে ...
কখনো বিশ্রাম না নেওয়া কালো চোখের ভাঁজে ভাঁজে
ছাড়পোকার নিটোল কামড়ের ব্যাথার মত শেলতীব্রতায়
শ্বাস নিয়ে হেঁটে চলা নগ্ন পায়ের পুরনো পথিক।
বেঁচে থাকার রাশভারী, অহংকারী, একচেটিয়া উল্লাসে
স্তব্ধ, বিবর্ণ, রক্তহীন, নিরীহ, হারানো মানুষ।  






সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

দেখিনা অন্ধকারে ,অন্ধকার আমাকে দেখানা
আমরা চলি পাশাপাশি
শরীরে ঠান্ডা প্রলেপের মত লেগে থাকে
ভীত রাতের কথামালার মত অন্ধকার। 
বহুক্ষণ পরে অনুভূত হয়,
শারীরিক কাঠামোর বাইরে
পড়ে আছে দাগী হাসি ...
আর কোন শংকা থাকে না তাই
হাসি কিংবা অট্টহাসিকে প্রেত বলে মনে হয়
সে তো আমারই থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া
বেহিসেবী সুখের প্রকাশ
রাত, হাসি, অন্ধকারে অজানায় ...

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সেই দিনগুলো কোথায় হারালো?
একেক সন্ধ্যারাত, তুমুল হট্টগোল, আড্ডা
নানা ছুতোনাতায় তার ছুটে আসা, 
আর আমার না বোঝা প্রেম!



                      
রাতের আকাশের কাছ থেকে ঋণ করে নেয়া
গভীর বেদনা'র মত তারাগুলো
চলে যায় চোখের তারা'র আড়ালে
লুপ্তপ্রায় ... তবে রয়ে যায় স্বপ্নের সাথে।



শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ঘরের রং'টা আমি ভুলে গেছি
ঘরে বাস করা মানুষটা কি রঙের পোষাক পড়েছে
এখন আর তাও চোখ বুজে ভাবতে পারিনা
মিলে না কিছুই আগের মত করে
এটা বুঝতে পারিনি সন্ধ্যাবেলাতেও!

মিলিয়ে যাওয়া তামাকের ধোঁয়ার গোলেতে
স্বচ্ছন্দে আমার আঙ্গুলের বিচরণ ছিলো
আঙ্গুলের দিকে, তাদের ভাঁজেতে খুঁজি
এই হাত সে ঘরের দেয়ালের পরশ কি ভুলেছে?
কিংবা পর্দার আড়াল থেকে দেখা খুঁটিনাটি
বিকেলের রোদ, একসাথে কাটিয়ে নেওয়া
দুপুরের ভাতঘুম, আড়মোড়া, ভালবাসা-বাসি!

আবিরের টিপ পরে খুলে আসা লজ্জার বেশভূষা
টিপের রয়ে যাওয়া দেয়ালের পাশে আঁটসাট
আজো কি রয়েছে আগের মত সব?
ঘরটা বুঝতে পারে কেন আর যাইনা ও বাড়িতে?
ঘরটা কি দেখে রাখে চেনা জানা
ফেলে আসা মানুষটাকে!