সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

একদিন খুব ভোরে বেরিয়ে পড়বই ঘর থেকে
একা রিক্সায় ধোঁয়া ওড়া শহরের জেগে ওঠা দেখতে বেরুব
একদিন রাতটাকে সকালের হাতে সঁপা দেখতে
ঘুমহীন কাটাব রাত; একদিন মুক্ত হবই।
জানালার কার্নিশ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দিগন্ত ছুঁতে বেরুব।
একদিন কাঁধে রাখব তোর বাড়িয়ে দেওয়া আলিঙ্গনের দাগ
একদিন মন থেকে বের করে আনব সাহসগুলোকে
সবাইকে দেখাব বাঁচার স্বপ্নেরা সুন্দর হয় কত-
পলে পলে মৃত্যু'র মুখে চুন কালি লেপে।
রাস্তায় রাস্তায় এঁকে দিব ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
জমানো আহ্লাদ, একদিন বৃষ্টি নামাব বেশ্যালয়ে।
একদিন মুখোশের মানুষেরা লজ্জায় মুখ লুকাবে

একদিন মুখোশের আবরণ খুলবে শঠের শহরও,
তার সাথে, সেইসব অর্ধেক মানুষের কয়েদ করা
পরাধীনতার থেকে বেঁচে উল্লাসে ওড়াবে আলোর আঁচল
কেবলি বিশ্বাসে, ভালবাসায় নিস্তেজ হবে কামুক প্রেমিকের দল।
ফুল ফোটাব একদিন, সূর্য্যকে হাসিয়ে তুলব খিলখিল
তারপর বালিয়াড়ি দেখতে ভাসাব সাম্পান অজানা সাগরে
সবাইকে সুখ দিয়ে আমরা পালিয়ে যাব
আমাদের পলাতক অসুখের খোঁজে, একদিন ... যাবি, বল!
একদিন পলি জমা ফসলের ক্ষেতের শেষভাগে ঘর বানাব।
মনের রাজত্ব জমে উঠবেই একদিন
স্বাধীন পতাকা একদিন ওড়াবেই অবাধ্য মন।



প্রশ্ন এফোঁড় ওফোঁড় করে, ছটফটায়।
কল্পনা বাস্তব ছেড়ে যায় ...
অদৃষ্ট সব দেখেশুনে হাসে।
পোড়া চোখ তবু জাগ্রত ...

বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

খাপছাড়া ঘরটাকে প্রতিবিম্ব মনে করে ভুল করি না/ঘর খাপছাড়া হল কিসে?/আসবাবে ধূলোর প্রহর মেপে বলে দিতে পারি,/ মনের খবর/ঘর তবে খাপছাড়া কিসে?/কি কি আছে সবখানে পরে?/মাপহীন প্রহরের ধূলো, একেকটি বইয়ের ভাঁজ/উঁকিঝুঁকি মারা বয়সের পাঠ/আকাশ আর মাটিতে দেখেশুনে শেখা সব/একা অভিযাত্রায়/সূর্য্যের কাছে দেনা করে শোধ/প্রতি সন্ধ্যায় ঘরেই তো লুকাই এ মুখ!/
খাপছাড়া এ ঘর হল তবে কিসে?/