বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২

কতকিছু লিখব করে, কতকিছু লিখে, মুছে ফেলে, ফিরে গেছি আমার ঘরের কোণে! ইদানীং আরো বেশি মাত্রায় আমি ঘরকেন্দ্রিক হয়ে গেছি। ঘরের বাইরের কাজ যতটা পারি নিজের ভেতরে নিজেকে গুটিয়ে সেরে নিই, মানসিক যুদ্ধ শেষে আমি ফিরি এই ঘরে ... এই ঘর আমার নিজেকে কষ্ট সইয়ে নেবার অসীম শক্তি দেওয়া প্রিয় দেয়ালঘেঁষা। এই ঘর আমার ভয়েরও কারণ। কিন্তু আমার একা রাতেও এ ঘর আমার সঙ্গী। একমাত্র ...
আমার ঘর আর কাউকে বলে না কত শত বার চোখ দু"টোকে বাঁচাই আমি ফুলে যাওয়া কান্নার আঘাত থেকে। এই ঘর কাউকে বলে না, কি করে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু আমি। কি করে দ্বন্দ সামলে প্রতি ভোরে আমাকে জাগানোর জন্যে আমি নামি খাট থেকে, পা ফেলে হেঁটে যাই অন্য ঘরে ... কি করে আয়নায় দাঁড়াই, নিজেকে সাজাই ... কি করে খাদ্যনালীতে খাবার পৌঁছে দেই। বাঁচতে যে হবে! কি অসম্ভব হাস্যকর লাগে মাঝে মাঝে বা অধিকাংশ সময়, এই বেঁচে থাকা!! ...
হাহ! বিশ্বাস হারানো নাও নিয়ে বয়ে চলেছি এ যাত্রা। কখনো এত অসহায় আর একা ছিলাম না আমি ... এই ঘর সব জানে তার।
ঢেউয়ের পরে নিস্তরঙ্গ জল যদি দেখতে তুমি
হয়ত বুঝতে তবে, আমি কি ভাবছি!
খোলা রাস্তার ব্যস্ততায় শীতার্ত হেঁটে গেলে পরে
রাত দীর্ঘ হয়ে ওঠে 
হৃদয় ভুলেও যায় তখন
শরীরে ওম আছে কিনা।
হাসির রেশে শুষ্ক হয়ে থাকে অভ্যন্তরীণ মরুভূমি
উপশিরায় অবিশ্বস্ত কেউটে সাপ খোঁড়ে আস্তানা।

মানুষের বিদ্রোহী চোখে নিষ্পাপ খেলা করে
জাগরুক গান পৃথিবীর
সে জাগাতে পারে না ...
বিস্মিত হবার চেতনাকে

ঢেউয়ের পরে নিস্তরঙ্গ জল যদি দেখতে তুমি
হয়ত বুঝতে তবে, আমি কি ভাবছি!


(লেখাটি'র অনুপ্রেরণা কিছুটা একটি হিন্দি ছবিতে ব্যবহৃত কয়েকটি লাইন থেকে পাওয়া। বাকিটুকু'র জন্য আমি কৃতজ্ঞ একা রাস্তা আর বন্ধুহীন বন্ধুর পথ ধরে হাঁটা অনুধাবনের ... প্রথম প্রকাশ, ফেইসবুকে)