সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩

ঘর ও ঘোর এবং অন্যান্য 

# ঘুম ভাংতেই দেখলাম কুয়াশায় ঢেকে থাকা দিনের মত রং
ঘর ঘুমোচ্ছে তা দেখে ... একটা রাতঘুম দেয়া বিছানায় হেলান দিয়ে
ওপাশ ফিরে, কাঁধের পেছনে বালিশ নিয়েছে এক। 

# দেয়াল জুড়ে আমি আর সে 
আমাদের মৃদু মৃদু হাসি 
ঘি রঙ এ আকাশের আবীর মেখে দিল
অবনত চোখ দেখে ঘর বিস্ময়ে ভাবে
স্বপ্ন দেখবে নাকি?

# যাদু সত্যি হলে ঘরের প্রতিবেশী বারান্দায়
মেঘবালিকা জল দিয়ে ঘোর বানাত আরেক
যাদু জানালার কার্নিশ গলে ভেতরে আসে না তাই
শেষ মনে আসে, শুরুটা দূরে; অজানায়।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

তিন কবিতা।

চোখ দেখে বুঝবে না ব্যথার উৎস
চোখ দেখে বুঝবে না অতল গহ্বর মনে করে বাস
চোখ ব্যথা গিলে খায়, নিংড়ে খায়
খুটে খুটে খায়, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খায় ব্যথা
চুইয়ে পড়ে যে ব্যথা, হাড় মাংস নিঃশেষ করে যে ব্যথা
মায়ায় বসত গড়ে বুকের মধ্যমায়.


তুমি আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলে ঠোঁট আর আষাঢ় নামল।
আকাশ কেঁপে উঠল, গর্জে ডাকল মেঘ, বৃষ্টি নামল ...
আমার প্রিয় পানা ফুল, কদম এখন ভিজছে 


কেউ জানে না আমি জানি
মুহুর্তেরা প্রহর হলে কোন ঘরেতে আলো জ্বলে
কোন ঘরেতে আলোর প্রহর নিভু নিভু ...
কেউ জানে না আমি জানি
আলো কিংবা অন্ধকারে মুহুর্তদের চিতা জ্বলে
অহর্নিশি ... হর-হামেশা
প্রখর তাপে ঠোঁট পুড়ে যায়, বুক পুড়ে যায়, চোখ পুড়ে যায়
মুহুর্তদের, কেউ জানে না ... আমি জানি!