শুক্রবার, ১৫ মে, ২০১৫

ঢাকা এয়ারপোর্ট
যতবার দেখেছি দূর থেকে সোডিয়ামের আলোয় গাড়িগুলো যেতে যেতে ঝাপসা হয়ে যায়। মানুষের চোখের পাতায় রাতজাগা ক্লান্তি, ফেরার তাড়া, যেন জীবনের ওই মূহুর্তে আটকে গেল এক হাত আলো! 
ফুটপাথে যেই শিশুরা দাঁড়িয়ে থাকত, ফেরার পথে দেখতাম ওদের নেশা উবে গেছে! এখানে সেখানে এলোপাথাড়ি হয়ে, কাঁধে সেই এক ঝোলায় পুড়ছে, গেলো রাতে ফেলে দেয়া আয়েশি মানুষের উচ্ছিষ্ট! 
তখনো সকাল হতোনা! আমাদের যার যার বাড়ি, আমরা যাকে ঘর বলে মানি, সেখানে হয়তো বিছানা পেতে রাখত বুবু! ঘুমোব যে! কতদিন ঘুমাইনি আমরা! 
দলাতো না শুধু গাছগুলো। আমি ওই পথে আবার যখন যাব, জানি, তারা ওভাবেই থাকবে দাঁড়িয়ে, কেউ কি আমায় চিনে নিবে? ডালগুলো ... পাতারা দুই শীতে ঝরে, উড়ে গেছে জানি! কোথায় গেছে, তা যদিও বলতে পারি না! আঁচ করতে পারিনা। ঝড়ের কথা মনে পড়ে। খুব ঝড়ে স্মৃতির মত যেমন ধূলো উড়ে যায়! দেশ ছাড়িয়ে হয়ত তখন পাতারাও ওড়ে! ওড়ে না কি?
আর আছে গাড়িগুলো চলে গেলে পরে, স্টিলের পরতে লেখা মানুষের নাম। অ তে শুরু কোনটা আ তেও! দেখব খুঁজে, যদি পাই ... আমায় কি দাঁড়াতে দিবে ওরা! ওরা তো জানে না, সেই শূণ্য ভোরে আমার এক অধ্যায় পড়ে আছে! খোলা চোখে যতটুকু অন্ধকার গোপন করা যায়, তাতেই ওর ঠাঁই হবার কথা।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০১৫

ও মন দেখলি কি তুই সব?
রাস্তা শেষে যে মানুষ পায় পথ
সেই পথ তুই নিলি না হায় জেনে
ও মন, রাস্তা মানুষ হারায় অতঃপর।
মেঘ ছুটে যায়, রোদ পড়ে যায় জলে
চোখ লুকিয়ে কোথায় যাবি হেঁটে
জলের তোড়ে ভাসছে মেয়ের ছায়া
ও মেয়ে তোর হাতের ভাঁজে
পুরনো অক্ষর।
ঘর খুলে আয়, বৃষ্টি মাখিস গায়
চোখ মেলে দ্যাখ আকাশ জুড়ে ফুল
ফুলের বনে ভাসছে মেয়ের নাম
ও মেয়ে তোর বুকের ভাঁজে
নিঃশ্বাস অবিরাম।