শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ভালোবাসা, এই দেশে কাঠগোলাপ নাই. নাই কৃষ্ণচূড়াও! দোলনচাঁপা, পানাফুল! পানকৌড়ি, প্রজাপতির মতো চঞ্চল ছুটে এসে বাড়ির পুকুরে হুট করে বসে. ডাহুকের ডাক শুনে ভর দুপুরবেলায় প্রাণ শুকায়, কিসের যে সে শূন্যতা! 
ভালোবাসা, কেবল তোমার নাম ধরে ডাকা ছাড়া ভিন্ন কোনো কিছুই মনে পড়ছে না. বাড়ির পুকুরঘাটে কত দুপুর একা বসে ভেবেছি এলেবেলে, বৃষ্টি নেমেছে. আমাকে অবাক করে, ভেলায় ভেসে দিব্যি রপ্ত করে নিতে দেখেছি সাঁতার. 
তুমি কী ঘুঘুর ডাক শুনে থমকে দাঁড়িয়েছ কখনও, ভালোবাসা? প্রথম ভোরে অশরীরীর সাদা শাড়ির মতো কোমল পাখার কোনো ঘুঘু, তোমার ব্যস্ততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেনি কোনোদিন? 
ভালোবাসা, আমার একান্ত পুকুরঘাটটা ছিল কুয়োর ধারে. টলমলে জলে মাঝে মাঝে হাওয়ার ঢেউ দুলে উঠত. অনবরত তাদের ম্রিয়মান হতে দেখে আমি জেনেছিলাম, পৃথিবীতে সব এলোমেলো. খুব করে চাওয়া মাটির পুতুলও হারিয়ে যায়. 
একদিন তুমিও হারাবে
কাশফুল ছুঁয়ে থাকা মেয়ে
ডাঙায় দাঁড়ালে মেঘ মেঘ শরৎ
নীল গায়ে তাঁত বুনে দিবো 
সাথে কিছু চোরকাঁটা পায় 
রিমঝিম মচমচে দুপুরের রোদে 
ওম নিতে নিতে কিছু ঘুম
তারপর একছুটে পানাফুল পাঁপড়িতে
খুঁজে নিস অবিকল ময়ূর যুবক.