বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ওই দেশে আমি পেঁজো মেঘ দেখেছি
বরফের হিমশীতল আচ্ছাদনের সাথে তাকে তুলনা করনা
ভুল হবে। 
ওই মেঘ কাজল কালো চোখের ভেলায় ভাসমান সাদা অংশের মত বরং
গহীনে অতল, কিন্তু ডুবে যেতে ইচ্ছে করে।
ওই মেঘ সিঁড়ির মত ...অতলান্ত।

শৈশব মনে পড়ে?
আমাদের নরম সবুজ মাঠে একত্রে দাঁপিয়ে বেড়ানো?
মাঠের শেষ ভাগে বিকেলের আড়িপাতা রোদ্দুর ক্রমশ মূর্চ্ছা যেত ...
আমরা সতেজ পাতা'র সন্ধানে অভিযাত্রী দল যেন ঘোড়ার তেজ নিয়ে ছুটেছি!
কিন্তু আমাদের সাহসী পদক্ষেপের প্রতি কণায় ঘাসের গন্ধ ছিল।
হাল্কা ধোঁয়াটে বাড়িগুলোর দরজা খুলে গেলে যেন ঠিক ইভানুষ্কা-মারুষ্কা হাজির হত, জানতাম নিশ্চিত।
যদিও দেখা হয়নি, শুধু রাতঘুমে ওরা পথ বাতলে দিত।

সেই পথের সন্ধান আজো মেলেনি ...
সেই নরম সবুজ পাতা মাঠ থেকে শুরু করে
আজন্ম অধরা মেঘের গভীরে সন্ধান করে করে
সন্ধান করে করে ... নিশুতি রাত ... রুপালি চাঁদ ... আলোমাখা সোনারোদ ...
সকল সাক্ষী করে ছুটছি ...

সেই পথের সন্ধান আজো মেলেনি!


২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
লন্ডন।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ভালবাসাকে যদি কেউ ভালবেসে ফেলে,
সে সমস্ত জীবনের তরে অভিশপ্ত হয়ে যায়।

ফুল ফোটা দেখে সে আবেগে হেসে ফেলে,
চুলায় আগুন জ্বলে দাউদাউ দাবানল।
খাদ্যদ্রব্য পোড়ে ... লোকে বলে, মুখপোড়া, হতচ্ছাড়া, যাযাবর।

গাঙ'য়ের জোয়ারে সে স্বর্গরশ্মি খোঁজে
সূর্য্য থেকে নির্গত ... 
ভেসে যায় কাঠের ভেলা
অপরিচিত, একমাত্র সাঁকো নড়বড়ে ঠেকে বিভিন্ন চোখে।

ভালবাসাকে যদি কেউ ভালবেসে ফেলে
শূণ্য হয়ে রয় তার মনের উঠোন! ...

১৩।০২।২০১৩
লন্ডন