রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বসন্ত এসে যায়,
দেখি পলাশ, শিমুলের রক্তগঙ্গা আকাশে ভাসে 
আমার স্বপ্নগুলো হলুদ হয়ে যায়
নারীর শরীরি গন্ধে ভরে থাকে স্বপ্নেরা 
ঘুরে বেড়ায় ছবির হাটে, চারুকলায়, বইয়ের উদ্যানে 
আমি খুব ভোরে জানালার পর্দা সরিয়ে দেখি
তখনো কুয়াশা কাটেনি এ শহরে।
মোড়ের কনফেকশনারি খুলতে আরো কিছু ঘন্টা বাকি।
তারপর এক দুই করে মানুষে ভরে যাবে শহরের অলিগলি
তারপর পিঁপড়ের মত তারা ছুটবে সন্ধ্যা অবধি
এ নগরীতে সন্ধ্যাটা ইদানীং তাড়াতাড়ি আসে।
বরফের মত ঠান্ডা লেগে থাকে গলায়, কানে, নাকে
আমরা নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যাই।
আমরা সন্ধ্যা নাগাদ মনে করতে পারিনা
বসন্ত এসে যায়।
বসন্ত এসে গেলে কেন যেন মনে হয়
ভালবাসা ভালবাসি তাই ভালবাসিনাই।
ভালবাসাকে ভালবেসে তাই ভালবেসে যাই,
ভালবাসতে চাই ...
বইয়ের উদ্যানে পাশাপাশি বসে থাকা খোলা চুলে কেউ
ঘামে ভেজা ভীরু হাতে সেই চুলে বুলিয়ে আঙ্গুল
নারী হাসে মৃদু; আমিও মুচকি হাসি
ভালবাসা ভালবাসি তাই।
দেখি, ফুলের সমাগমে বসন্ত এসে যায় তাই
হলুদ শাড়ির ভাঁজ খোলে নারী
হলুদে সবুজ, হলুদে লাল; নীল; কালো
হলুদে সাদা আসমানি দেখে দেখে
ভীষণ আফসোসে ভাবি
বসন্ত এসে যায় তাই
সে নগরে ফুল, পাখি সব গেয়ে ওঠে
সবাই চোখে চোখ পেতে হাসে
সেদিন সেই মধুর উৎসবে একাকী আমার কিছু স্মৃতি
ছড়িয়ে রাস্তায়, ফুচকার দোকানে, নৃত্যের তালে ডুবে রয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন