মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

সুনীলকে ...

বড় বিষণ্ন বিকেলের ম্লান হয়ে আসা রোদ।
এ রোদ প্রখরতা দেয়, হাঁটতে প্ররোচিত করে
মাঠের পরে মাঠ, ক্ষেতের পরে ক্ষেত ...
পাড় হয়ে স্থলভূমি, জলের ওপর দিয়ে হেঁটে
ওপাড়ে চলে যেতে প্রলুব্ধ করে, ডেকে যায়
ছেয়ে যায় ছায়ার উপরে।
এ রোদ স্মৃতিকে শুকিয়ে নিতে বাধ্য করে,
ততক্ষণ মন করে খেলাধূলা বর্তমানে,
মন ভুল করে ভুলে যায়
স্মৃতি সে যে অতীতকে হারালেও বর্তমানে বরাবর সত্য!
রোদ এমন করে, ছলে বলে কৌশলে
চাঙ্গা করে তুলতে পারে মন।
... তবু এই তেজি রোদ আজ প্রশ্নাতীত হয়ে
পারে না খেলতে প্রবঞ্চকের মত।
পাংশুটে হয়ে রয়, ভ্যাপসা বাতাস আসে ভেসে
হেমন্তের আকাশের কোণ হয়ে মেঘের সাথে।

আমি অবেলায়, বড় বেশি অবেলায়
ধ্বংসের ভোরে জানি, মেনে নিই, তুমি চলে যাও।
এই শোকের তান্ডব না ফুরোতেই
নির্নিমেষে, অগন্তুক হয়ে যেভাবে এসেছিলে
ছোট্ট ঘরের কিছু কোণে, বালিশে, তোষকে
একা একা কাঁদবার কালে ... বোশেখের ঝড়ে
মন থামিয়ে দেবার প্রহরে, ছেলেবেলা, ছেলেখেলা
রোদ পোহানোর বাড়াবাড়ি থামিয়ে
একা কোন জানালায় দাঁড়িয়ে ফিঙ্গে পাখি দেখবার ছলে
আমি জানি, তোমার সঙ্গে করে নিয়ে যাও
কুড়িয়ে পাওয়া সবশেষ আমার লুকিয়ে রাখা সযতনে
শুকনো পাতার ঢেউ ...

আমি কেঁদে উঠি, অশ্রু বলতে তুমি একে?
আমি শোকস্তব্ধ হয়ে অস্থির পায়চারি করি,
হামাগুড়ি দিই, মনকে দুমড়ে মুচড়ে
দেখি ছুটে এদিক সেদিক ... আকাশের এমাথা, সেমাথা
বাড়াই দ্বিধায় চির জাগরুক হাত
নীল ছুঁতে পাই না ...
কেবলই সুনীল ভাসে চরাচরে
তাতে থোকা থোকা, তুলো মেঘ উড়ে যায়, উড়ে আসে
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন আকাশ শুধু ভাসে ...


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন