একটি প্রেমের কবিতা
তুমি আর কতদূরে যাবে?
বলো, হে সুদর্শন!
তুমি পারবে না যে ভোরের আলো,
আমার গায়ের রঙ মেখে তোমাকে ছোঁয়;
তাকে অবজ্ঞা করে, মুখ ফেরাতে!
তোমার ঘুম; দুঃস্বপ্নে ভেঙ্গে গেলে
গলায় খুশখুশে কাশির মাঝে কম্পমান-
সকল ধ্বনিতে আমি বিদ্যমান!
তুমি যেই মেঝেতে পা ফেলে রোজ হাঁটো,
জেনো, ওখানেই পেতে রাখি বুক।
আমাকে মাড়িয়ে তুমি ...
কতশত প্রেমিকাকে চুমু খেলে,
তাদের চোখের বিন্দুতে পেলে
প্রিয় পৃথিবী তোমার!
আমি স্থির হয়ে থাকি
আমার স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণে'র পাঠ চুকে যায়,
তোমার একেকটা দিকভ্রমে।
তুমি কি দেখছো আকাশ?
কিংবা জলের বাড়ি; রাজহাঁস ...
কতবার তোমার জন্য আমি ছত্রে ছত্রে
গুঁড়ি গুঁড়ি মেঘ পাঠালাম।
তুমি সেই মেঘেদের নিমন্ত্রণে পথে নেমে গেলে
তোমার সাঁওতালী চামড়ায়, বৃষ্টির ফোঁটা জমে
একেকটা হীরকখন্ডের জন্ম!
আমি প্রাণপণ সেই ছবি এঁকে
ঠান্ডা বাতাসে ওড়ালাম চুল;
পড়লাম নাকফুল!
তোমার লেখার খাতায়, বিছানায়,
জানলার কার্নিশে, চুয়ে পড়া বিভ্রমে
যে বিষাদ উঁকি দেয় প্রায়শঃ
ওখানে, সেখানে, সবখানে আমারই সে তুমি!
তোমাকে চেয়েছি বলে, দেখো
অবাক আস্পর্ধায় বাড়িয়েছি হাত অজানাতে।
তোমাকে চেয়েছি বলে,
একশো দুপুর আর হাজারটা সন্ধ্যা
একদম পেছনে ফেলে ছুটে গেছিলাম।
তোমাকে চেয়েছি বলে, বলতে পারিনি, কতটা চেয়েছি!
তারপর তোমাকে বাড়তে দেব বলে
বন্ধক রেখেছি জীবন আমার!
তোমার কাজের মাঝে সিদ্ধান্তহীনতা,
স্নান ঘরে ফেলে আসা মোহনীয় শার্ট,
কোমল পানীয়র গ্লাসে দৃঢ় চুমুক,
হাতের দৃপ্ত ভাঁজ, কপালের রেখায়
একা'র অভিযান, কিংবা বিলাসী আড্ডায়-
যাকে যাকে করো আমন্ত্রণ,
তাদের সকলের ফাঁক গলে
আমি চুরি করে নিই, সেই হাসি।
যতবার অন্যের হয়ে আছো,
জেনো, আমি সেখানেই আছি।
যতবার পালিয়েছো আমার থেকে
ততবার ছায়া হয়ে শরীরে শরীরে-
মনের গহীনে, নিয়েছি ঠাঁই। ...