শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮

তুমি ছিলে আশেপাশে? গভীর বিষাদেও মনে হলো, যখনই কোথাও বাইরে গেছি মনে হলো ... হয়ত চোখে পড়বেই এক, দু'বার। ঠিক জানিনা, কি করতে পারতে তুমি! চিনতে না আমাকে? পরিচিত রাস্তাগুলোও খুব অচেনা লাগলো। খাবারের দোকানগুলো বাইরে থেকে যতোটা সম্ভব খুঁটিয়ে দেখলাম। জানতে চাইলাম, যা খাও, সেগুলো কেমন? নানারকম মত পেলাম। মানুষ মিস করে কাকে? ... আমার চলে যাচ্ছে। ভালো-মন্দ মিলিয়েই। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে মনে হয় সব তোমাকে খুলে বলি। এই দেয়াল ভেঙ্গে ফেলি। কিন্তু কে ভাংবে? কেনই বা?
তাই আর পা বাড়াইনি। থাকুক ওইটুকু তোলা দূরত্ব, বড় অদ্ভূত। হাত বাড়ালেই যাকে ছোঁয়া যায়, তাকে না ছুঁয়ে ফিরতি পথে আমার ঠিকানা। বন্ধুত্ব সবটুকু নেয়। নিঃসঙ্গতা কেন নেবেনা? এবার আবার নিঃসঙ্গতাকেও অশ্রদ্ধা করতে শুরু করো না! তোয়াক্কা না করার নাক উঁচু রেওয়াজটাকে কিছু ক্ষেত্রে দমাতে হয়। ভালো থেকো, এই আমার একান্ত চাওয়া।   
আঙ্গুলে গাল ছুঁয়ে ফিরে গেলে কাজে
নাজুক হলো চোখ
যে চোখ চাইছে কিছু; যে চোখ মুহূর্তেই অচেনা 
লুকানো হলো সব চোখের পাতার ভারে 
দেখা হলে বলবে কি আর?
দীর্ঘ নিঃশ্বাস রাত ছুঁইছুঁই
মনে হয় সুতো আছে এক
মন বলে, কিছু ঠিক নেই।

(জুলাই ৮)  
এই অহর্নিশ অবিশ্রাম 
চৈত্রের মাঠ- বিরাম। 
একারোদের কুটিল তাপ 
এইমাত্র শরীরে দাগ রেখে গেল; 
শীতসর্বস্ব দিনে মুছবে না।
মাঝরাত শূন্য হওয়া ধীরপায় গাছ।
একটিও পাতা ভিজছে না, কাঁপছে না মৃদু।
তবু এই রোদ, মাটির অভ্যন্তরে গেঁথে যায়
নিরানন্দ অতিথি হয়ে
শুষে নেয়, চেটে নেয় সকল সবুজ।
গুমোট ঘরগুলো দেয়ালের ফাঁক গলে
ভাংতে চাইছে চারকোণ।


(অগাস্ট ৩, তখনও আমার মা বেঁচে ছিল।) 
Nights pass by, night after night
Days don’t shine anymore 
Maa went to somewhere else
She either sleeps in silence or she wanders with new friends 
Once she tried to touch me after the final departure 
I got scared so she left
Now she either sleeps or talks with new friends
People say that she looks amazingly beautiful
She smiles the same
I need to talk to her
I want to say to touch my forehead
I want to say to get me some sleep
I want to say that I can’t eat because she left
I want to tell her that I no longer have the courage or strength to face this cruel world
Because she took my inspiration while leaving me alone
I need her to show me the way of her new home
From there she could see me but I can’t
I feel so helpless Maa ...


(September 7)
মায়ের শরীর ঘেঁষে বুনো ঘাস দোল খাচ্ছে
তারা আরো জ্যোতির্ময়, ঝলমলে যেন মখমল
ছোট বড় পিঁপড়ার দল ছুটছে যূথবদ্ধ।
ছোটবেলায় একই বাড়ির উঠানে ওদের গতিরোধ করেছি
মা বলতো, 'ওদের পথে বাঁধা হয় না মা।'
আমি খুব আদুরে, মা বলতো 'আমার বিড়াল, ঘুমালে তো কিছু টের পাস না,
একটু রোদ আর লেপের গায়ে শীত লেগে গেলে তোর ঘুম শুরু' ...
কত রাত পরীক্ষার প্রহরের আগে আমি ঘুমাতাম, মা পা টিপে এসে দাঁড়াতো,
দেখতো আমার মুখ। সেই চোখের দীপ্তি আমি মা হয়ে বুঝি আজ।
ওখানে মায়াময় সংশয় থাকে। মায়ের চাইতে এই দুনিয়ায় কে আর ভালোবাসে বেশি? আমার চলার পথ মা যদি হেঁটে দিতে পারতো, সেই তার ভাবনার বুননে।
মা এখন একা কৃষ্ণচূড়ার পাঁপড়ির ভাঁজে শুয়ে আছে। আমি নাই। কেউ নাই।
মহাকাল বৃষ্টির, কাঠফাটা রৌদ্রের তাপ, সুপারি গাছের আশেপাশে
মাটির অতলান্তে কোন সেই পথ?
পিঁপড়াগুলোকে হাতের তালুতে নিয়ে জানতে চাইলাম
মনে হলো, মাকে তারা ছুঁয়ে এলো
ওদের ভাষা জানা নাই তাই
মায়ের খবরগুলো পেলাম না।

(সেপ্টেম্বর;২৮)