সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৫

আচ্ছা, এমন কেন হয়?
একলা দুপুর কোলে নিয়ে
নিঃসঙ্গতা বসে থাকে
আর ব্যস্ত নগরের ভিড়ে
পোড়ে অন্য মন?
হরেক রঙ এর পাখি
দল বেঁধে সারে স্নান
একত্রিত আকাশে ওড়ায় পাখা
মন নিঃসঙ্গতা নিয়ে ভাবে-
'কতকাল আকাশ দেখিনি!' 

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫

ঘর আর মানুষে এতো অভিমান!
দেয়ালে শরীর আবৃত করে
সে লুকায় সব অবহেলা।
যেন চোখের কোল জুড়ে বহমান
কাজলের একেক পরতে
মেঘের গল্প আছে পাতা।
ছায়ারা পাখিদের মত, উড়ে যায়/ 
এখানে রোদের নরম আলোয় আমি দেখি/ 
মায়াভরা তোমাদের মুখ/ 
দেখি, হাসির রেশে অশ্রুবিন্দু ক্রমাগত সোনালি হয়/
টিয়ে রং আবৃত গ্রাম্য বধুর নোলকে জড়ো হয়/ 
করজোড় মিনতি আমার/ 
আমি তোমাদের আগে পিছে, 
হৃদয়ের মাঝে এভাবেই থাকি/ 
ঠোঁট ফেটে চৌচির হলে/ 
শুকনো মাঠ মনে আসে/ 
ভরা বর্ষায় জলমগ্ন মেঘবালিকারা/ 
শব্দের অলক্ষ্যে আমাকে তোমাদের আর্দ্রতা দিয়ে যায় ...
রাত গভীর ও সুন্দর!/ 
গভীরতাহীন জল কতকাল আর দেখো তুমি?/ 
অথচ রাতের পাখায় ভর করে পান করো অভিমান পেয়ালা/ 
ঝেড়ে ফেলো দ্বেষ/ 
উপশম করো ক্লান্তির/ 
হয়ে ওঠো নতুন ভোর আরেক!/
রাত গভীর মানে নিশ্চিত ঘুমুচ্ছে পাখি/ 
তার ডানা ঝাপটানোর শব্দ/ 
তোমায় তাড়িত করবে না/ 
রাত আর পৃথিবীর তাবৎ আসরে তখন/ 
নতুন ভোরগুলো আড়মোরা ভাংছে/ 
ব্যস্ত রাস্তাগুলো যারা অনেকটা সময় বিশ্রাম নিল/ 
তারাও ভাংছে সম্মোহন/ 
জেগে উঠছে আর গায়ে মাখছে ভোরের পদক্ষেপ!/ 
রাত গভীর মানে তুমি প্রদক্ষিণ করে এসেছো/ 
শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য/
 আর সূর্য উঠছে/ 
কারণ সূর্য উঠবেই!
সন্ধ্যার আলো থেকে দুপুরের অন্ধকার
ক্রমশঃ ক্ষীণ হয়ে আসে
থাকে কেবলই অবাক চোখের তারা
সে নিরব অতি, না বলা অনেক কথা।
হয়ত অনেক পথ চলা বাকি রেখে 
চুপ করে বসে থাকা তবু
দিন যাক, ভোর হোক আরো।
'ওগো দুখ জাগানিয়া, তোমায় গান শোনাব।'
#নিঃশ্বাসের ভিড় কড়া নাড়ে/
রাতের বাতাস সম্মোহনের সুর/ 
আঁধার ছুঁয়ে ঘুম পালানোর উত্সবে/ 
শহরের শেষ বাড়িটা/ 
ভিজছে একা বৃষ্টিতে!


#এই শহরে ভালবাসা কুসুম কুসুম. 
বৃষ্টি নামে আমায় ছাড়া. 
মেঘলা বাতাস/ ভিজছে ফুল, ভিজছে পাতা/ 
আলুথালু হৃদয়াকাশ