বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২

কতকিছু লিখব করে, কতকিছু লিখে, মুছে ফেলে, ফিরে গেছি আমার ঘরের কোণে! ইদানীং আরো বেশি মাত্রায় আমি ঘরকেন্দ্রিক হয়ে গেছি। ঘরের বাইরের কাজ যতটা পারি নিজের ভেতরে নিজেকে গুটিয়ে সেরে নিই, মানসিক যুদ্ধ শেষে আমি ফিরি এই ঘরে ... এই ঘর আমার নিজেকে কষ্ট সইয়ে নেবার অসীম শক্তি দেওয়া প্রিয় দেয়ালঘেঁষা। এই ঘর আমার ভয়েরও কারণ। কিন্তু আমার একা রাতেও এ ঘর আমার সঙ্গী। একমাত্র ...
আমার ঘর আর কাউকে বলে না কত শত বার চোখ দু"টোকে বাঁচাই আমি ফুলে যাওয়া কান্নার আঘাত থেকে। এই ঘর কাউকে বলে না, কি করে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু আমি। কি করে দ্বন্দ সামলে প্রতি ভোরে আমাকে জাগানোর জন্যে আমি নামি খাট থেকে, পা ফেলে হেঁটে যাই অন্য ঘরে ... কি করে আয়নায় দাঁড়াই, নিজেকে সাজাই ... কি করে খাদ্যনালীতে খাবার পৌঁছে দেই। বাঁচতে যে হবে! কি অসম্ভব হাস্যকর লাগে মাঝে মাঝে বা অধিকাংশ সময়, এই বেঁচে থাকা!! ...
হাহ! বিশ্বাস হারানো নাও নিয়ে বয়ে চলেছি এ যাত্রা। কখনো এত অসহায় আর একা ছিলাম না আমি ... এই ঘর সব জানে তার।
ঢেউয়ের পরে নিস্তরঙ্গ জল যদি দেখতে তুমি
হয়ত বুঝতে তবে, আমি কি ভাবছি!
খোলা রাস্তার ব্যস্ততায় শীতার্ত হেঁটে গেলে পরে
রাত দীর্ঘ হয়ে ওঠে 
হৃদয় ভুলেও যায় তখন
শরীরে ওম আছে কিনা।
হাসির রেশে শুষ্ক হয়ে থাকে অভ্যন্তরীণ মরুভূমি
উপশিরায় অবিশ্বস্ত কেউটে সাপ খোঁড়ে আস্তানা।

মানুষের বিদ্রোহী চোখে নিষ্পাপ খেলা করে
জাগরুক গান পৃথিবীর
সে জাগাতে পারে না ...
বিস্মিত হবার চেতনাকে

ঢেউয়ের পরে নিস্তরঙ্গ জল যদি দেখতে তুমি
হয়ত বুঝতে তবে, আমি কি ভাবছি!


(লেখাটি'র অনুপ্রেরণা কিছুটা একটি হিন্দি ছবিতে ব্যবহৃত কয়েকটি লাইন থেকে পাওয়া। বাকিটুকু'র জন্য আমি কৃতজ্ঞ একা রাস্তা আর বন্ধুহীন বন্ধুর পথ ধরে হাঁটা অনুধাবনের ... প্রথম প্রকাশ, ফেইসবুকে) 

শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২

অতঃপর ডিসেম্বারের গভীর রাতে আমার বোধ হল, এখন শীত এদেশে।
কাল সারাটাদিন অস্থির নিমগ্নতায় কাটিয়েছি আমি। মগ্ন ছিলাম, কারণ আমার কোন কারণ ছিলনা, মনকে বোঝাবার, কেন সারাদিন ঘরময় অস্থির পায়চারি শেষে ক্লান্ত হলনা শরীর?
কেন মন ফিরে ফিরে ঘুরে গেল মহাশ্মশানে! না, সেখানে কোন মানুষের অস্তিত্ব ছিলনা, অথবা মেলেনি কোন অশরীরি। বড় বড় বটের আড়ালে, শুকনো নদীর বুকে জেগে থাকা চরে কেবলি শূণ্যতা ছিল। অথচ হাসির গমক শেষে ফিকে হয়েছিল সূর্য্যের রঙ! একটা করে হলুদ ফুলের নুয়ে পড়া রেণুতে পা রাখার ভয়ে সামলে চলা বহু পরিচিত পথও মেলাতে পারেনি সে অস্বস্তির রেশ ... শীতের একার রাত বেসামাল করে দিল তাই। 

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

জীবনের দর্শন বদলায়, খুব ঝংকার তুলে
কিংবা গুমোট অন্ধকারে নিরবে।
যে জীবন শকুনের ডানায় ভর করে মাঝরাতে উড়ে যেতে চায়
সে জীবনই প্রলুব্ধ চোখে তার বীভৎস ভয়াবহতায় কাঁপে।
পিচগলা পথ দেখে মনের অন্ধকার মনে পড়ে কখনো
খুব চলে কিছুক্ষণ দ্বন্দ ... তারপর
ডাকাতের মত কোন ট্রাক ছুটে আসে
ধ্যান ভঙ্গ হয় ...

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১২




অনুচ্চারিত শব্দমালা ২

বেড়ে ওঠার প্রয়াস নাকি বেঁচে থাকার প্রয়াস? বাড়িয়ে ওঠার কিংবা বাঁচিয়ে তোলার? যুক্তি কিংবা বুদ্ধির দ্বারস্থ না হবার ইচ্ছেটাকে ম্রিয়মান করে, জুঝে আত্মার পরিশীলিত রুপের সঙ্গে, সৃষ্টিশীলতা আশীর্বাদরুপে যে মানুষকে আরো আমায় রূপান্তর করেছে, তার সঙ্গে পেরে উঠতে, তাকেও ছাপিয়ে উঠতে গিয়ে বেলাকেই অবেলার নাম দিয়ে, সভ্য হয়ে ওঠার অষ্টপ্রহরকেও আবোল তাবোল বুঝিয়ে এই যে চলেছি যার পিছে, হয়ত ফানুস হবে তা শেষেও ... তা জেনে, এর তবে ব্যাখ্যা কি দেব? যদি বা এও বলা চলে, ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই তারও, যদিও বা বোঝাই একে আমি, বাঁচার প্রশ্নে এসে থামে না কি তা? ... এই দায় একান্ত আমারই, ছুটব তবে আর কোথায়? একার আকাশ যদি হারিয়েই ফেলেছি তবে বারবার প্রশ্নের ভিড় বাড়াবাড়ি নয়? ...

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

অনুচ্চারিত শব্দমালা ...


শীতের পরশ বোলানো আদর আদর দিন। একলা রাতের প্রহর ... নিঃসঙ্গ দুপুর কিংবা এক কথায় একাকী প্রতিটি বেলা ... কি নেই? কেন কেবলই মনে পড়ে কোথায় কিছু থাকবার কথা ছিল! কোথাও মানুষ ছিল আমার মত? কোথাও বন্ধু ছিল? ... ভাবনায় তারার বাঁধন ছিল? ... ছন্দের পতন ছিল না কিন্তু শুধু তাদের মনেই!
 ... এগুলো সবই মনে হবে এলোমেলো কথা, অন্তত আমায় যে চেনে না তার কাছে, কিংবা প্রতিটি আমার চেনা মানুষের কাছে ... সে এক একলা মেঘের আড়াল ছিল, এক নিমেষেই লেপ্টে থাকা চোখের কাজল যথা জায়গায় সাজিয়ে দিত চোখে ... ছাই রঙ গুলো শুষেই নিত আমার অজান্তে ... ঝড়ের বাঁধন আলগা করে একাই সে ছুটত আবার ...
... কোথায় গেল? হায় রে, আমার বোঝাপড়ার ফাঁপা জগত! কোথায় আমি? কোথায় আমার হাসির ঝিলিক? ... কোথায় আমায় ভুলিয়ে দেওয়া মায়া মায়া মায়ার স্বপন? কোথায় আমার বন্ধু গেল? কোথায় সে যে হারিয়ে গেল! কোথায় আমি ফেলে এলাম তাকে? ...  

মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১২

তোমার লেখা অন্তত একটা শব্দের প্রতীক্ষায় বসে থাকি।
সে হতে পারে, ইনিয়ে বিনিয়ে তিনটে মাত্র ডট ...
হতে পারে, নিছকই জানতে চাওয়া, আমি ভাল আছি কিনা!
কিংবা, এলোমেলো কথার ভিড়ে কিছু কিছু বিরাম চিহ্ন ...
সেসব দেখে আমারো একা একা হারিয়ে যাওয়া হবে কাশবনে
আমি দলছুট হয়ে যাব সব ভিড় ঠেলে
মনকে প্রতারিত করে হাঁটব যেন ঠিক তুমি হাঁটছ, আমার পাশে, এই ভেবে।

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

সুনীলকে ...

বড় বিষণ্ন বিকেলের ম্লান হয়ে আসা রোদ।
এ রোদ প্রখরতা দেয়, হাঁটতে প্ররোচিত করে
মাঠের পরে মাঠ, ক্ষেতের পরে ক্ষেত ...
পাড় হয়ে স্থলভূমি, জলের ওপর দিয়ে হেঁটে
ওপাড়ে চলে যেতে প্রলুব্ধ করে, ডেকে যায়
ছেয়ে যায় ছায়ার উপরে।
এ রোদ স্মৃতিকে শুকিয়ে নিতে বাধ্য করে,
ততক্ষণ মন করে খেলাধূলা বর্তমানে,
মন ভুল করে ভুলে যায়
স্মৃতি সে যে অতীতকে হারালেও বর্তমানে বরাবর সত্য!
রোদ এমন করে, ছলে বলে কৌশলে
চাঙ্গা করে তুলতে পারে মন।
... তবু এই তেজি রোদ আজ প্রশ্নাতীত হয়ে
পারে না খেলতে প্রবঞ্চকের মত।
পাংশুটে হয়ে রয়, ভ্যাপসা বাতাস আসে ভেসে
হেমন্তের আকাশের কোণ হয়ে মেঘের সাথে।

আমি অবেলায়, বড় বেশি অবেলায়
ধ্বংসের ভোরে জানি, মেনে নিই, তুমি চলে যাও।
এই শোকের তান্ডব না ফুরোতেই
নির্নিমেষে, অগন্তুক হয়ে যেভাবে এসেছিলে
ছোট্ট ঘরের কিছু কোণে, বালিশে, তোষকে
একা একা কাঁদবার কালে ... বোশেখের ঝড়ে
মন থামিয়ে দেবার প্রহরে, ছেলেবেলা, ছেলেখেলা
রোদ পোহানোর বাড়াবাড়ি থামিয়ে
একা কোন জানালায় দাঁড়িয়ে ফিঙ্গে পাখি দেখবার ছলে
আমি জানি, তোমার সঙ্গে করে নিয়ে যাও
কুড়িয়ে পাওয়া সবশেষ আমার লুকিয়ে রাখা সযতনে
শুকনো পাতার ঢেউ ...

আমি কেঁদে উঠি, অশ্রু বলতে তুমি একে?
আমি শোকস্তব্ধ হয়ে অস্থির পায়চারি করি,
হামাগুড়ি দিই, মনকে দুমড়ে মুচড়ে
দেখি ছুটে এদিক সেদিক ... আকাশের এমাথা, সেমাথা
বাড়াই দ্বিধায় চির জাগরুক হাত
নীল ছুঁতে পাই না ...
কেবলই সুনীল ভাসে চরাচরে
তাতে থোকা থোকা, তুলো মেঘ উড়ে যায়, উড়ে আসে
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন আকাশ শুধু ভাসে ...


রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

বেহুদা যুক্তির দ্বারা
মন হাওয়াই মিঠাই হইয়া উঠে
আমি সেই রঙ জিভে লাগাইয়া ঘুরি
ধিক! ...

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১২

রাস্তায় কোলাহল বাড়ে
অন্ধকারের সঙ্গে রতিক্লান্ত রাত নেয় আড়ি
দিনে দুপুরে আলোয় তার গা জ্বলে যায়
সে ঘুমুতে চায়, পর্দাটা পুরু করে টেনে
আরো নিস্তব্ধ নিশ্চয়তা তার প্রয়োজন, 
আঁধারকে খুশি করতে, ঘুম প্রয়োজন তার।



মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১২

সকালের রোদ অর্থশূণ্য মনে হয়। এমন নয়, অর্থ খুঁজি সবটাতে,
অর্থবাদী মানুষের মন তো পড়তে পারি না সহসাই, তবে এই দাবী না করাই সমীচীন।
তবু আজ দারূণ রাতঘুম শেষে বহুদিন পর বুভুক্ষের মত সকাল দেখব বলে চোখ জাগাতেই মন কেন জাগল না? এমন নয়, কারণ খুঁজে বেড়াই সবটাতে, তবে তো উত্তর মিলে যেতো, আর জীবনের পাঠ যেত চুকে। তবু বার বার রোদ দেখে, আলোতে মন জাগল না, কেন? ...
বাতাসে বীভৎস গন্ধ ভাসছে, অবিরাম 
দাঁড়ানোর কিংবা পালানোর জায়গা নেই
চোখ পুড়ে অঙ্গার ধোঁয়ায়।
এ কোন সকাল, দুপুর, রাত, অলি-গলিতে?
এ কোন প্রেতের বসত-ভূমি?
নরক বাজায় দামামা মন মন্দিরে!




সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

একদিন খুব ভোরে বেরিয়ে পড়বই ঘর থেকে
একা রিক্সায় ধোঁয়া ওড়া শহরের জেগে ওঠা দেখতে বেরুব
একদিন রাতটাকে সকালের হাতে সঁপা দেখতে
ঘুমহীন কাটাব রাত; একদিন মুক্ত হবই।
জানালার কার্নিশ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দিগন্ত ছুঁতে বেরুব।
একদিন কাঁধে রাখব তোর বাড়িয়ে দেওয়া আলিঙ্গনের দাগ
একদিন মন থেকে বের করে আনব সাহসগুলোকে
সবাইকে দেখাব বাঁচার স্বপ্নেরা সুন্দর হয় কত-
পলে পলে মৃত্যু'র মুখে চুন কালি লেপে।
রাস্তায় রাস্তায় এঁকে দিব ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
জমানো আহ্লাদ, একদিন বৃষ্টি নামাব বেশ্যালয়ে।
একদিন মুখোশের মানুষেরা লজ্জায় মুখ লুকাবে

একদিন মুখোশের আবরণ খুলবে শঠের শহরও,
তার সাথে, সেইসব অর্ধেক মানুষের কয়েদ করা
পরাধীনতার থেকে বেঁচে উল্লাসে ওড়াবে আলোর আঁচল
কেবলি বিশ্বাসে, ভালবাসায় নিস্তেজ হবে কামুক প্রেমিকের দল।
ফুল ফোটাব একদিন, সূর্য্যকে হাসিয়ে তুলব খিলখিল
তারপর বালিয়াড়ি দেখতে ভাসাব সাম্পান অজানা সাগরে
সবাইকে সুখ দিয়ে আমরা পালিয়ে যাব
আমাদের পলাতক অসুখের খোঁজে, একদিন ... যাবি, বল!
একদিন পলি জমা ফসলের ক্ষেতের শেষভাগে ঘর বানাব।
মনের রাজত্ব জমে উঠবেই একদিন
স্বাধীন পতাকা একদিন ওড়াবেই অবাধ্য মন।



প্রশ্ন এফোঁড় ওফোঁড় করে, ছটফটায়।
কল্পনা বাস্তব ছেড়ে যায় ...
অদৃষ্ট সব দেখেশুনে হাসে।
পোড়া চোখ তবু জাগ্রত ...

বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

খাপছাড়া ঘরটাকে প্রতিবিম্ব মনে করে ভুল করি না/ঘর খাপছাড়া হল কিসে?/আসবাবে ধূলোর প্রহর মেপে বলে দিতে পারি,/ মনের খবর/ঘর তবে খাপছাড়া কিসে?/কি কি আছে সবখানে পরে?/মাপহীন প্রহরের ধূলো, একেকটি বইয়ের ভাঁজ/উঁকিঝুঁকি মারা বয়সের পাঠ/আকাশ আর মাটিতে দেখেশুনে শেখা সব/একা অভিযাত্রায়/সূর্য্যের কাছে দেনা করে শোধ/প্রতি সন্ধ্যায় ঘরেই তো লুকাই এ মুখ!/
খাপছাড়া এ ঘর হল তবে কিসে?/

মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১২

দীর্ঘশ্বাস তোকে দিলাম
খাঁচায় রাখিস পুষে
কোন মেঘলা বেলায় উড়িয়ে দিস আকাশে
ধূলোয় উড়ে যদি হয় বিশুদ্ধ আরো
অসমাপ্ত চিঠি হয়ে ফিরবে তোর মনের ঘরে
তখনো দরজায় দাঁড়ানো প্রতীক্ষার রেশ
চোখের কোণে কালো হয়ে
জমে থাকা ভালবাসার বুনন।

বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০১২

একটি অপাংক্তেয় দীর্ঘশ্বাস আর মিনিট দুয়েকের বিরতি
তারপর চিরচেনা ঘাসের বুকে মাথা পেতে দেওয়া অতীতের প্রক্ষেপণ
অতীত যা বিস্তীর্ণ জলরাশি, সমুদ্রের ঢেউয়ের গায়ে লেগে থাকা ফেনা
আছড়ে পড়ে, ভেতরের সব জল নিংড়ে কেউটে সাপের মত ফণা তুলে
মুহূর্তেই বিলীন হয়ে ফের ফুঁসে ওঠে নিরব আক্রোশে, সবার উপরে।
সবুজে সবুজময় ঘাসেরা হারায় সকল সজীব কোমল আবেগ।

সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১২

সারাদিন বৃষ্টি পড়ে, মনে; শরীরে।
জীবন বড় ক্লান্ত হয় যাপনে।
সারাদিন এক ঘোর লেগে থাকে, বিষাদের।
সারাদিন, একটি করে দিন খসে পড়ে।
সারাদিন কান্না ঝরে গোপনে।

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

হাত বাড়ালেই বন্ধু মেলে! বল?
বন্ধু মানে একলা আকাশ, জল টলমল বৃষ্টি দুপুর
মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া মনের কোণে উঁকিঝুঁকি
পদ্ম পুকুর। কষ্ট রোদে চুপি চুপি হেঁটে যাওয়া পথের ধারে
দেখতে পাওয়া এক জোড়া চোখ, কাতর ভীষণ!
তোর রং'য়েতে হারিয়ে যাওয়া প্রবল তেজী আরেক মানুষ।
তোরই মতন স্বপ্ন বোনা, তোরই মতন উথাল পাথাল
আবেগ নদী সাঁতরে সে যে গড়িয়ে পড়ে
জীবন বোধের উজার প্রেমে!
সে তো তোর মাঝেতে বেড়ে চলা প্রচন্ড এক শক্তি বিষম
তোর হাসিতে লুটিয়ে পড়ে, সোঁদা মাটির গন্ধ শোঁকে
মুঠোতে ঠিক পুষে রাখে তোর না ভোলা সুখগুলোকে, দুখগুলোকে!
হাত বাড়ালেই বন্ধু মেলে! বল?

বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১২

রাত বেদনার মত কাতর,
নিস্তেজ, নির্লিপ্ত বাতাসের মত
কি আশ্চর্য শান্তিতে
কাঁপায় এ বুক!

চোখের তারা'র মত প্রগলভ রাত
বাদামি তারা'র চোখ, ব্যাথিত চোখ
সুদৃঢ় অভিমানে।

রাত দ্বিধা, সংশয়
অন্ধকারে সঁপে ... একা
করে রাত পাড়!
সকালের আলোতে, অগোচরে
হারায় আবার।

আহা! ঘুমহীন ক্লান্ত ক্লান্ত কত রাত!
ভালবাসা, ভালবাসা করে প্রাণ করলি  ওষ্ঠাগত

হায় রে মানুষ!
হৃদয়ে তোর আগুন পুষে
খড়কুটোকে দিয়ে দিলি প্রশ্রয়!


কখনো ফিরবে না বললেই যায় না চলে যাওয়া
অস্তিত্ব টুকরো কাঁচের মত, স্মৃতিরাও।
সন্তর্পণে রয়ে যায়, ছড়ানো ছিটানো কখনো
 দাগ কেটে আহত করে দেয়, হয় রক্তক্ষরণ মনে
সে ক্ষত যায় না দেখা, হয় না কোন উপশম!

একেকটি দাগের ওপর পড়ে আরো বিষম আঁচড়।

অন্ধকারময় জ্যোতস্নার ভিড়ে স্নাত
হঠাত চমকে দেওয়া জোনাকের আগমনে
ডুবন্ত বালিয়াড়ি ... বিষন্ন হাসির শেষ কোণ-
বেয়ে উঁকি দেওয়া নিখোঁজ দুপুর।

সূর্য্যের উতসবে চিকচিকে ত্বকের ভাঁজে
লুকোনো অশ্রু-ঘাম, বোবা আর্তনাদ!



বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১২

আমার বাড়ির পুকুরে শান্ত আকাশ দাঁড়িয়ে
দুপুর বেলা, রোদ এখানে এলিয়ে পড়ছে
গাছের পাতা গ'লে লুটিয়ে দিচ্ছে আদর
আর মৃদু বাতাসে নাম না জানা কত ফুলের গন্ধ!
 দূর থেকে তখন মানুষ দেখা যায় দু' এক করে
সবুজ ক্ষেতের আল বেয়ে খোলা গা'য়ে
সুখী চোখে, ভরা পেট আর পান জর্দা'র বিলাস।
সামান্যে কি অসামান্য আনন্দ ভাসে তাতে!
 তাঁত জড়ানো শরীরের  ভাঁজে আড়মোড়া ভাঙ্গে
নারীর হাসির কাকলিতে ঠাঁসা রুপার নোলক
আমার কপালে শুধু এক নীল বিন্দু টিপ দেখে
অপার বিস্ময়ে লুকিয়ে রাখে শহর দেখার ইচ্ছেটা!
ভাবে বুঝি, কোন এক হাট বারে
মনের মানুষটার সাথে আহ্লাদে নদী পেরিয়ে
চলে যাবে রঙের বাহারে মোড়া শহরে।
সন্ধ্যা বাতি জ্বালানোর ছলে ফিরে যাবে গাঁ'য়ে ফের
নীল বিন্দু টিপে বড় অস্বস্তি, মনে হবে তার ...
আহা! কি সহজ বসবাস।
মরচে পড়ে না মাটির শীতলতায়, সম্পর্কে কোন!
ধূলোয় ধোয়া শরীর ঝেড়ে দিলো ছুট
একদল পাখির মত ঝলমলে ছেলেগুলো
মাছরাঙ্গার সাথে পাল্লা দিয়ে সেরে নিল স্নান।
আর জলের রঙ এখন আসমানী থেকে সবুজ,
আকাশের রুপ গেছে পালটে!
আমি পা বাড়াই, ঘুরে দাঁড়াই, দেখি কূয়োর ধার
মনে পড়ে মা'র সাবধানী।
 উঠোন পেরিয়ে খড়ের গুদাম, নিংড়ানো শুকনো ধান।
একপাশে পড়ে থাকা মাটির বাসনগুলো
পুতুলের সংসার; শাড়ি, মস্ত বড় বড় ঘুড়ি!
 এখন হাতে প্রিয় পানা ফুল, বেগুনী সাদায়
আদুরে ছেলেটার অসাধারণ হাসি মাখা উপহার!
দাদাভাইয়ের বসার চেয়ার, দাদুর আলতা, রাজহাঁস, টাইগার
সিন্দুক, খাট, আরো আসবাব
দেখে দেখে বিকেল গড়ায়
আযান, শংখধ্বনি কানে আসে ভেসে
ইচিং বিচিং, ডাঙ্গুলি, এক্কা দোক্কা আর গোল্লাছুটে 
একাকার প্রিয় মাঠ।
আষাঢ়ের মেঘ, বৃষ্টি কাঁদায় গড়াগড়ি
ভূতের রাজ্যে বীরবেশী রাজপুত্র আমি
অনাচার শেষ করে সত্যের খোঁজে। 


... সেই আমার প্রিয় বাড়ি
সেখানে ছোট ছোট করে ছড়ানো শৈশব
অথবা নিরব দীর্ঘশ্বাস আর অবধারিত আমি!


 

মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১২

মানুষ দিনে দিনে বদলে যায় বলেই
পৃথিবী এগিয়ে চলে, শুনেছি।
আমি কি তবে মানুষ নই?
পৃথিবীটা থেমে আছে যে!

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

বৃষ্টির স্বর শুনি কান পেতে
ভরা বর্ষায় শুকনো পাতাগুলো সব
মাটির গা'য়েতে লেগে থাকা ধূলোর পথে
ভিজে উঠলো একসাথে।
কোথায় কোন এক ফেলে আসা ঘরে
আজ কেউ করে গুঞ্জন হয়ত বা!
নরম কোমল ভেজা ঘাস মাড়িয়ে
ছুঁতে কি পারে কঠোরতা?
চোখগুলো পড়ে নিতে পারে
অনুচ্চারিত শব্দ প্রতিজ্ঞার?
ফিরে আসি এই চেনা বাড়িতে
পুরনো আমি, এক সেই কোণটাতে দাঁড়িয়ে
মনে মনে এঁকেবেঁকে যাই
নানা রঙ্গে মোড়ানো জীবনের প্রতি ধাপ
আমাকে করে দেয় অচেনা।
এবার আবার আমি আমি'র সঙ্গে
একা একা শুধু একা দায় নিয়ে
বসে রই প্রতীক্ষায় ...

শনিবার, ৫ মে, ২০১২

আমাকে করো না প্রশ্ন
জলের কোন রঙ কেন পাই না খুঁজে
উত্তরগুলো অন্য বাড়ি গেছে,
চোখের পাশে শুকিয়ে যাওয়া দাগের কোলে
ঢেউয়ের মত উথাল পাথাল মনের বিড়ম্বনায়
শুকিয়ে যাওয়া নদীর রেখার মত।




বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১২


আহ! তোমাকে ভোলা যায় না
ঘুম ভেঙ্গে গেলে পরে যে স্মৃতির ভোরে
ডুকরে কাঁদে হৃদয়,
নিয়ে যায় তোমার কাছে সে রোজ।
বুকভরা বাতাসের মিতালি আর
প্রথম সূর্য্যের সাথে বেড়ে চলো তুমি
যেদিকে তাকাই, যে পথেই যাই,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকো
ছায়ায় মিলিয়ে নাও গোপন প্রণয়।

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

মেঘলা রঙের আকাশ দেখে তোমার কথা মনে পড়ে গেলো
তুমি নও মেঘের উড়িয়ে আনা বিশুদ্ধ বাতাস, তবু।
তুমি বৈশাখী ঝড়ের মত দোর্দন্ড প্রতাপ নিয়ে
পারো না আসতে জানি আর কখনোই।
তোমার অস্তিত্ব, তোমার নিঃশ্বাসেরা এ এক পৃথিবীর
আলো, ধূলো মেখে কোথাও রয়েছে সর্বদা
সে কথাও জেনে, মেনে তোমাকে অবর্তমানে হারানোর
বিষাক্ত ক্লান্তি মাখা অভ্যাস সয়ে যাই।




এগিয়ে যাও, কারণ দিনগুলো কখনোই থামে না
রাতের বাতাস যে করুণ উপলব্ধির সাক্ষী হয়ে রয়
তাকে সঙ্গী করে এগিয়ে যাও তাই।
কাউকে বুঝতে দিতে নেই তোমার ভেতরে
তুমি যে ক্রমশ বিলীয়মান।
কেউ বুঝবে না চোখ জুড়ে কোন অদেখার খোঁজ!
তবুও এগিয়ে যাও, কারণ
পৃথিবীর আলো না ফুরালে ফুরাবে না
তোমার এই বিষাদ, অনুভব।

 




সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

বিষাদের মত সাদা হয়ে আছে হৃদয়
কথার ভিড়েও ঠাঁই নাই তাই কথাদের।
যে কথা প্রতিদিন ও মনে ধ্বনি তোলে
তোলপাড়ের ছলে বল্কে ওঠে
আবেগের সুললিত ঢেউ
চোখ বেঁধে হাত পায়ে বেড়ে চলা
মানুষের কথার মাঝে আরো একা একা
রয়ে যায় তারা!
সবকিছু কেবলই শুণ্য মনে হয় তাই;
তাই, পাখিদের পালকে যে রঙ মাখে সূর্য্য
যে পাখিরা ঘরে ফেরে সহস্র বন থেকে
নিজের আশ্রয়ে খড়কুটো নিয়ে
বাড়াতে সংসার, চিন্তাহীন সজীব বাতাসে
তাতেও এ বুক ভারি হয়ে ওঠে।
আমার সবুজগুলো হারিয়ে যায়
আমার নীল, লাল, বেগুনীরা
ছাই হয়ে উড়ে উড়ে চলে যায়, আমাকে ফেলে।


মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

আমাকে খুঁজোনা, কারণ
ভেজা কাকের ডানায় ভর করে
চলে গেছি গহীন অরণ্যে
সেখানে গাছের পাতার ফাঁক গলে
যেটুকু আকাশ দেখা যায়
সেই হয় পরিচিত পথ।
তোমাদের অভ্যস্ত চোখে সেই পথ
বড় সংকীর্ণ মনে হবে, তাই
আমাকে খুঁজোনা।
আমি বহুবার করেছি আপ্রাণ চেষ্টা
এইসব আবাসের পেছনের ভালবাসাটুকু
পাইনি কোথাও!
সবখানে এত এত বিস্তীর্ণ পথের মাঝেও
শুধু শূণ্যতা দেখেছি!
শৌখিন বারান্দার শেষ কোণে এমন কি
লাল ঠোঁট টিয়েটার একাকী আড়ালে পাইনি
মাঝ রাতে কুঁকড়ে ওঠা সাথীটির পাশে
ঘুম বিছানা ফেলে উঠে আসা মায়াময় হাত।
পরিচ্ছন্ন ঘরের দেয়ালে
ছবির মিথ্যেটুকু সাজিয়ে সবাই
ভাল রয়ে গেছে!
পরিচিত বিলাসে একমাত্র অপাংক্তেয়
এ আমার স্মৃতিময় মন ...
তার খুব প্রয়োজন হারানো সময়ের
শেষ থেকে শুরু করে দেয় এমন মানুষ।
দেখা নেই, কথা নেই ... তবু শুধু অনুভবে
বিচিত্র কথার কারুকাজে
যে বুঝিয়ে দিতে পারে
জীবনেতে শেষ বলে কিছু নেই।
সে আমার একমাত্র অনভ্যস্ততা হয়ে
আমাকে ফেরাক!
তখনই ফিরব আমি, কথা দিলাম।
তখনই মানব জেনো,
বাঁচার সুখের চেয়ে কিছু নেই ঢের আরো স্বপ্নময়!





রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২

সূর্য্য, আমি আর কার কাছে যাব?
কোথায় হারাব?
তুমি তো জানো, প্রতিবার বৃষ্টিশেষে
আমি ঠিক বেরিয়ে পরি তোমাকে খুঁজে নিতে!
আমার পায়ের নিচে লেগে যায় কাঁদা
এমন কি তারা মাঝে মাঝে লেপ্টে যায়
শরীরের পরতে পরতে।
খুব পুরনো কোন প্রিয় বইয়ের মলাটের মত
আমি তাকে আমন্ত্রণ জানাই, মনের অন্দরে।
সে হয়ে ওঠে আজীবনের জন্য
আমারই ফেলে আসা সুদূর পরাহুত অতীত;
স্মৃতির গর্ত থেকে গলে ওঠা জমানো নীল
মাঝরাতে পূর্ণ জ্যোৎস্নার আলোর মত
যা মায়াময় অথচ বিষন্ন।
তারই সাথে তুমি আমার বেঁচে থাকার
একমাত্র অবলম্বন হয়ে
বার বার আমাকে ফেরাও!
আমি দেখি তোমার তেজে বাড়ন্ত আলো
আমি জানি, তোমাকে ঘিরে কি বিচিত্র ভঙ্গিমায়, উদ্যমে
পৃথিবী কেঁপে ওঠে আর
আমি সে কাঁপনের অদ্বিতীয় স্বাক্ষী হয়ে
হেঁটে যাই, ছায়া মাড়িয়ে ... তোমার পেছনে
ইশারায়, লুকোচুরি  সাথে সাথে নিয়ে।
বলো, আমি আর কার কাছে যাব?
কোথায় হারাব?
পরিচিত এইসব অভ্যাস আমার তোমার,
তাদেরকে ফেলে ... এদের সবাইকে ফেলে!

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২

বাক্সবন্দী অচিন পাখি'র মত
ধ্বসে পড়া প্রেমের স্তূপে আটকে পড়া
অটল পাহাড়সম মানবী এক
হারায় বর্তমান।

একেক অতীতময়তার ঘূর্ণনে
তার ফ্যাকাসে ঠোঁটে অবিরাম
বাঁচার ভারে ন্যুব্জ দুঃখেরা
করে পরিহাস।

ভালবাসা প্রতিবার ধোঁকা দিয়ে যায়
ধোঁকা দিয়ে যায় প্রতিবার ভালবাসা
প্রতিবার ভালবাসা ধোঁকা দিয়ে যায় ...

বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১২

দীর্ঘতর হচ্ছে রাত
দীর্ঘশ্বাসে ভ্যাপসা হয়ে ওঠা বাতাস
তাড়িয়ে নিচ্ছে ক্রমাগত
অজানা ভবিষ্যতের দিকে

দৃষ্টিবিহীন অন্ধকার
আর জাগতিক অসত্য মেখে হৃদয়ে
চলেছি ... সন্তর্পণে মেনে নিয়ে
অজানা ভুলগুলো তোমার!

এমন তো কথা ছিলো না,
স্বপ্নভাঙ্গা প্রতীক্ষার শেষে
রাঙ্গা সকালে, শুভ্র তোমার হাসি
মুখে মেখে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো

তুমি আমাকে কোথায় হারাতে দিলে?
কোন পথে নিয়ে এসে একা করে দিলে?

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মিথ্যা, তুমি দশ পিঁপড়া
কামড়ে দিয়েছ বিশ্বস্তভাবে
শরীর জ্বলে যাচ্ছে
সেইসাথে মন করেছ বিক্ষিপ্ত
আর তো রাখবো না পা, তোমার পায়েতে
হয়ে যেতে পার সাত সমুদ্র!

পৃথিবী'র রংগুলো মুছে যেতে শুরু করেছে
আকাশ, মাঠ কিছুই নেই আর মনের অবস্থানে
যেমনটা ছিল ... যেমনটা থাকলে একজন মানুষ
কথা বলে ওঠে, নড়েচড়ে বসে ...
কি বলবে একজন প্রতারিত, নিঃস্ব মানুষ? 
কথাগুলো সব মিথ্যের গহ্বরে বিলীন ক্রমশঃ
পুড়ে যাওয়া কাগজের স্তূপ থেকে
কুন্ডলী পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়ার একরোখা উড়ে যাওয়া
তেজের কাছে পরাজিত বাতাস বিষাক্ত অবয়বে
ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র ... 
ত্বক, চোখ, চুলে মেখে যাচ্ছে টক মাখনের মত
সতেজতাহীন একমাত্র তৈলাক্ত প্রলেপ।
ভেজা কুয়াশার রেশটুকু নেই আর
রৌদ্রের ক্রমাগত চাহনীতে ছটফট, বিক্ষত
মরুপিপাসী অভিযাত্রীর শুন্য থলেতে।
হাজার মৃত্যু আলিঙ্গনের অভিজ্ঞতা পুরে
কামড়ে বিষাদ, নিয়ে ছিদ্র হয়ে যাওয়া হ্রিৎপিন্ড
নষ্ট মানুষের অব্যর্থ সুখপ্রস্তাব
দগ্ধ সাজানো আভিজাত্যে
সাপের পালটানো খোলসে ...
কখনো বিশ্রাম না নেওয়া কালো চোখের ভাঁজে ভাঁজে
ছাড়পোকার নিটোল কামড়ের ব্যাথার মত শেলতীব্রতায়
শ্বাস নিয়ে হেঁটে চলা নগ্ন পায়ের পুরনো পথিক।
বেঁচে থাকার রাশভারী, অহংকারী, একচেটিয়া উল্লাসে
স্তব্ধ, বিবর্ণ, রক্তহীন, নিরীহ, হারানো মানুষ।  






সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

দেখিনা অন্ধকারে ,অন্ধকার আমাকে দেখানা
আমরা চলি পাশাপাশি
শরীরে ঠান্ডা প্রলেপের মত লেগে থাকে
ভীত রাতের কথামালার মত অন্ধকার। 
বহুক্ষণ পরে অনুভূত হয়,
শারীরিক কাঠামোর বাইরে
পড়ে আছে দাগী হাসি ...
আর কোন শংকা থাকে না তাই
হাসি কিংবা অট্টহাসিকে প্রেত বলে মনে হয়
সে তো আমারই থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া
বেহিসেবী সুখের প্রকাশ
রাত, হাসি, অন্ধকারে অজানায় ...

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সেই দিনগুলো কোথায় হারালো?
একেক সন্ধ্যারাত, তুমুল হট্টগোল, আড্ডা
নানা ছুতোনাতায় তার ছুটে আসা, 
আর আমার না বোঝা প্রেম!



                      
রাতের আকাশের কাছ থেকে ঋণ করে নেয়া
গভীর বেদনা'র মত তারাগুলো
চলে যায় চোখের তারা'র আড়ালে
লুপ্তপ্রায় ... তবে রয়ে যায় স্বপ্নের সাথে।



শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ঘরের রং'টা আমি ভুলে গেছি
ঘরে বাস করা মানুষটা কি রঙের পোষাক পড়েছে
এখন আর তাও চোখ বুজে ভাবতে পারিনা
মিলে না কিছুই আগের মত করে
এটা বুঝতে পারিনি সন্ধ্যাবেলাতেও!

মিলিয়ে যাওয়া তামাকের ধোঁয়ার গোলেতে
স্বচ্ছন্দে আমার আঙ্গুলের বিচরণ ছিলো
আঙ্গুলের দিকে, তাদের ভাঁজেতে খুঁজি
এই হাত সে ঘরের দেয়ালের পরশ কি ভুলেছে?
কিংবা পর্দার আড়াল থেকে দেখা খুঁটিনাটি
বিকেলের রোদ, একসাথে কাটিয়ে নেওয়া
দুপুরের ভাতঘুম, আড়মোড়া, ভালবাসা-বাসি!

আবিরের টিপ পরে খুলে আসা লজ্জার বেশভূষা
টিপের রয়ে যাওয়া দেয়ালের পাশে আঁটসাট
আজো কি রয়েছে আগের মত সব?
ঘরটা বুঝতে পারে কেন আর যাইনা ও বাড়িতে?
ঘরটা কি দেখে রাখে চেনা জানা
ফেলে আসা মানুষটাকে!
 

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১২

আমি কেমন আছি, জানতে চাওয়াটা কি প্রহসন নয়?
মাঝে মাঝে যখন সত্যিই জানতে চাই
বেঁচে আছি কিনা ... শুকনো পাতা'র মত রক্তাক্ত ঠোঁটে
হাসি ওঠে ফুটে, টের পাই এক চিলতে।
মাঝে মাঝে দূর আকাশের পরাজিত মেঘ বলে মনে হয়
জানিনা ভ্রম কিনা!
দেখা তো যায় উড়ছে, গন্তব্য আছে নিশ্চয়
হয়ত সে ঝরে পড়ে শরীরের অচেনা কোনো ভাঁজে
দূর থেকে দেখি আর ভাবি
ভুলে যাই, কেমন আছি সেটা।
হয়ত মানুষের কাছে  জীবন শুধু
দেখা আর বুঝে যাওয়া থেকে আরো দামি।
হারিয়ে গেলে পরে বিষাদের বসবাস ছাড়া কিছুই রবেনা সাথে;
এও জানি। যে ছিলো আমার, যে থাকে আমার
সেও রয়ে যাবে একা ... চলে যাবে ...
আমার হারিয়ে যাওয়া প্রহরের সাথে সাথে সেও মিলাবে।
তবু এই যাওয়া আসা, ভালো না থাকতে পারা বসবাসে
কেউ নেই আমরা কোথাও!
বিচিত্র একরোখা মন নয় বিলাসী, হেঁয়ালী ...
আমি কেমন আছি সত্যিই জানিনা।


সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১২

দমিয়ে রেখোনা এমন করে
বেঁধে রেখোনা কোন অদৃশ্যে
দৃশ্যত কঠিণ আগলে
বাড়তে দাও, আকাশ দাও
মনকে প্রকাশের স্বাধীনতা দাও।
 জানোনা কিংবা মানতে চাওনা কেন?
এভাবে বাঁচতে না দেওয়াটা যে ভুল!

তুমি যেভাবে ভাবো জীবন তোমার
লুকানো, ছাপানো
প্রাসঙ্গিক অর্থে প্রাচীন ঐতিহ্যে ঠাঁসা
সভ্য নাগরিকের মত।
সে জীবনের দায় নিতে ঘৃণা ধরে যায়
আমি সেই আমিকে আয়নায় দেখিনা
সে আমি হয়ে ওঠার লোভ নেই, তাই
ঘুমঘোরে কান্নায় কেঁপে কেঁপে উঠি।

এভাবে হারালে পরে কোন অভিলাষে
বলো আমাকে করেছ তুমি জয়, তাই জানো!
আকাশ হারিয়ে ফেলা স্রষ্টাকে করে পরাজিত
কি সুখ ভরবে তুমি মুঠোয় তোমার?


চুলোর আগুনেই ধোঁয়া ওঠা ভাত হয়ে যাবে
এভাবে ভাবলে পরে সংসার গোছাব কি বলো?
তাতেও যে লাগে মায়া পনেরো মিনিট
তাতেও লাগে তোমার আর আমার মিলিত প্রয়াস
আমি তা বুঝিনি আগে ঠিক করে, মানি
তুমি না জানালে পরে
না বাসলে ভালো
আর ওভাবে না হেসে দিলে ...
তবে জানো, এইটুকু খুব করে জানি
এক বছরের একাকী রাত পাড়ি দিলে পরে
তোমাকে কাছে পাওয়া মানে ভালবাসা
ধোঁয়ার গন্ধে ভাঙ্গা উপবাস।


শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২


পলকের ভারে অবিশ্রান্ত চোখ
অনুভব করেনাই বহুদিন
নিরবতার লেনদেন ... উড়ন্ত আকাশে
বিষাক্ত বাতাসের পর একবুক মেঘদল
চোখে ভাসেনাই ...

এই দেখে মনে হয়
সুখী হওয়া সমীচীন নয়।
ঢের দূরে রয়ে যায় সুখের প্রয়াস, বিস্ময়ে।






মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১২

আমার লেখায় অবধারিতভাবেই তুমি আসবে
কারণ, দিন বা রাতের এমন একান্ত মুহূর্ত নেই আমার
যাতে তুমি আমাকে একা থাকতে দাও।
সবশেষ সময়ের রেশ লেগে থাকে গালের মৃদু লোমে
সেখানেও লেপ্টে থাকে অস্তিত্ব তোমার-
নিরব, শান্ত, মোহনীয় এবং সুদৃঢ়।
তাই, লোকে যখন বলে, লেখায় আমার তুমি'র নেই বিবর্জন
আমি দিশেহারা হয়ে গেলেও বুঝে যাই ঠিকঠাক আজো বেঁচে আছি।
কখনো এমন হয়না যে আমরা মানুষেরা আবিষ্কার করি
বাঁচিয়ে যে রাখলো জীবন, তাতেই না কতখানি সুখ!
তুমি দেখো, তোমার নির্লিপ্ত কষ্টাতুর চোখে
সেই যে লোকটি বেঁচে গেছিল মৃত্যুর এক আঙ্গুল আগে, তাকে।
সে রুখে দিয়েছিল দম অসীম সাহসে
অথচ হাত পা কিছুই ছিলনা শরীরের সাথে!
চোখে তার বাঁচার সুতীব্রর আক্রোশ দেখে আজো ভাবি
বেঁচে থাকাটাই ঢের সুখে থাকা কখনো কখনো!
সে ছিল মাত্র এক উপলক্ষ্য এ উপলব্ধির!
আর যদি থেকে যাও তুমি, বিষাদ নিংড়ে সুখ জেগে রয় তার ভিড়ে
একেক আমিতে, অভিন্ন আমিতে ...

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১২

মানুষগুলো সব ছুটছে নিরেট মূর্খতায়
যেন আরো দু'কদম হেঁটে গেলেই
ক্ষমার উর্ধ্বে উঠে যাবে!
আজ আর তাই এত মানুষের প্রাণ ঠেলে
যান চললো না একটাও রাস্তায়!
আমারো হলো না তোমাকে চমকে দেয়া ...
ভেবেছিলাম, হঠাৎই পৌঁছে যাব তোমার তল্লাটে
দেখা না হওয়ার একেকটি শোকাতুর দিনের দীনতা
মুছে দেব মন থেকে নিমিষেই।
হলোনা ...

যারা জানেনা শান্তি কোথায় মেলে
আর অবাধ্য মনেরে করে শাসন ধর্মের দোহাইয়ে
সহজ দমিয়ে তারা ক্রমাগত পাপ করে চলে
আর হাত তোলে আসমানে
সেইসব মানুষের মন ভরে যাবে ভরসায়!
আমাদের অদেখা আত্মার তৃষ্ণার্ত ভাবাবেগ
তাতে শান্তি খুঁজে পাক!

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১২

আমি মানতে চাই, জীবনের সাথে ছিল এক বোঝাপড়া
মেনে নেব, যা কিছু আসবে অনির্দিষ্ট, সয়ে যাব তা।
আমি বুঝে গেছিলাম, ভালবাসি না হয়ত আর ...
আশান্ত সময়ে এসে দাঁড়ালাম কেন তবে?
ওখানে তোমার মন খারাপের রঙ এ হয় কান্না আঁকা
এখানে আমার মনে কষ্ট গলে পড়ে!

এ কেমন বিপন্ন আবেগ?
হুট করে উঁকি দিয়ে চলে আসে রোজ
এতো যত্নের মাখামাখি, ভালবাসার কালেও
দমকা বাতাসের সাথে  উড়ে চলা  ধূলোর মত
তোমার উপেক্ষাগুলো ভুলে যাই
আর ভালবেসে ফেলি কিনা তোমাকেই!

আবারো ধ্বংসস্তুপ ফুঁড়ে বেরিয়ে পড়ে
আমৃত্যু লালিত বেঁচে থাকার বাসনা!
তোমার সাথেই ভাগ করে নিই আমার চব্বিশ ঘন্টা!

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১২

রুক্ষ ও রুগ্ন দিন গেলো চলে
কিংবা আমার মন ভাল নেই, তাই
কিছুতেই মিলছেনা স্থিরতা।
ভাবি, আজ তোমাকে না দেখে
না ধরে তোমাকে, না শুনে হাসি
আর না হয়ে মুগ্ধ কথায়
চলে গেলো দিন, শীতনিদ্রায়।
ঘোর কেটে গেলে পরে যে পৃথিবীতে শাপ বেড়ে ওঠে
সেই শাপের অংশীদার আমি এক, পুরনো।
এগিয়ে যাওয়ার প্রদীপ্ত তেজ নিয়ে, জ্বলে আত্মা।
মুক্তির পথ বড় দীর্ঘ, তারো থেকে দীর্ঘ বুঝি অতীতের রেশ!
প্রতিবার এগিয়ে যত যাই, পেছনে ফিরি তত আরো।
মনে হয়, জাগতিক এইসব কোলাহল ফেলে, ফেলে লোকালয়
দৌড়ে পালাই। এগুনোর আছে যত শত আভিজাত্য,
সেই সাথে করে নিয়ে নেয় অপারগ মন ...
আমি তবে মন নিয়ে, সাথে নিই শুধু অধরা বিস্ময়!
কেন যাই শাপে বেড়ে ওঠা সুনিপুণ সভ্যতার পাল্লায় রাখতে সংশয়?

দ্বিধায়, দ্বিধামগ্ন সমাজে আদিম প্রাণীতে পরিণত হই, মানুষ থেকে।
নাম নেই কোন তার আর।
ঘোর কেটে গেলে পরে এইসব দেখি আমি, জানি আমি আরো।
হাতছানি দেয় যে মরীচিকা, হয়ে যায় বীভিষিকা সে আগামী-
টিকে যাওয়া সুদূর অতীত।



বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১২

কি ভাবছ বসে?
নরম ভেজা মন নিয়ে, একা
কেন বিলুপ্ত সম্পর্কের মায়া বয়ে বেড়াও
স্মরণে তোমার!

নদীর তো আছে তবু এক গন্তব্য
জানে, সে মিলবে ঠিক মোহনায়
তাকে তুমি দেখো?
নেই ওর সেই অধিকার
তোমাকে বোঝার।
ভাবি, কতটুকু রয়ে গেল বাকি আর
অস্থির যাত্রা বয়ে বেড়াবার ...

বদলে যায় ক্ষণে ক্ষণে সময়ের রঙ
প্রকৃতি বদলায় পালাবদলের কাল
তুমি বসে থাকো, ভাব, দেখে যাও একা
ও মন, বিষম সুন্দর মন নিয়ে-
আর পৃথিবীতে সহজে ঘটে যাওয়া প্রণয়ে
হয়না স্খলন তার।

যে চোখে হারাও সব
যে চোখ তোমাকে হারায়
বিল্লুপ্ত সম্পর্কের মায়ায়
খুঁজে পাও, প্রতিবার ভালবাসা ...
ফেরা তাই হয়না তোমার!
স্মরণে যে নাম মনে আসে
তার অপেক্ষায়।
জানোনা, সে চলে যায়
সে কখনো ভাঙ্গেনা শৃংখল
মনে সে বাড়ে, সময়ে বাড়ে না!
তবু রোজ বসে থাকো, কি আশায়?
ভাঙ্গনের উৎসবে, নিদারুণ সাহসে রাখো
অসমাপ্ত  আদরের রেশ!

নিরব কান্নায় টলে পড়ে মানুষীর মন
ভেজা মন নিয়ে ভেবে তুমি যাও শুধু আর।
এভাবেই শেষ হয় প্রতি রাত, প্রতি ভোর
আলো, অন্ধকার।




বন্ধু, আমার মনে পড়ে না
তোমার সঙ্গে দেখা প্রথম কবে হয়েছিল ঠিক!
কবে থেকে শুরু হয়েছিল বন্ধুতা?
কবে থেকে তোমাকে বন্ধু ভেবে নিয়েছিলাম,
কিংবা, তুমি আমাকে, অথবা ... আমরা আমাদের!

এমন কি হতে পারে, এমনি হবার ছিল?
জানিনা, বুঝিনা কিছু ... এখন জানি তবে
বন্ধু আছে এক! ...

হঠাৎ ছুঁয়ে দেওয়া নিরীহ লজ্জাবতী যেমন
লুকোতে উদ্যত হয় ...
আমাদের দ্বিধাগুলো আমরা হঠাৎ করে
লুকিয়ে লুকিয়ে অবশেষে মিললাম এসে যেন!
তাই, সংকোচ নেই মনে
জীবনের ধারণা যে এক!

ভাবনার বাড়াবাড়ি এক হওয়া ভিড়ে,
দ্বিধা আর কৌশলহীন বেঁচে থাকা, খেয়ালে
প্রগলভ গল্প, ক্রমেই বুঝে যাওয়া নিরবতায়
তুমিই তো বন্ধু আমার!

চলে যাই, দূরে যাই, জানিনাই ভাল আছো কিনা!
চলে যাও, দূরে যাও, জেনে নাও, ভাল নেই- বেখেয়ালী আমি!
তবু যাই, চলে যাই দূরে, শূণ্যের দেশে।

আমাদের বন্ধুতা ঠিক কবে গড়ে উঠেছিল?
মনে আছে? ...

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১২

তোমার জন্যে ভোর থেকে জেগে রব রাতের অপেক্ষায়
তোমার জন্যে পথ থেকে পথে রাখব চোখ, রাখব হাত হাতের উপরে
তোমার জন্যে সুখ ভাগ করে নেব, পালা করে, কষ্টের সাথে
তোমার জন্যে, শুধু তোমার জন্যে আমি বিস্ময় হারিয়ে, জীবন লুটাব!

তোমার জন্যে সাত তারা এক করে ফুল বানাব
তোমার হাসির পরে চোখের যে ছায়া পড়ে রবে অবশিষ্ট
সে ছায়ায় গা ভাসিয়ে মিলাব ছায়া'র প্রেম
তোমাকে পাশে পাশে ভেবে, কাছে দূরে রেখে, জীবন লুটাব!

তুমি শুধু ভালবাসো, তাই ... ভালোবেসে যাই ...

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১২

এবার ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর
স্বপ্নের শেষ থেকে শুরু করব
এভাবে রাত দিন এক করে দিব।

এবার আর সময়ের পিছু না নিয়ে
সময়কে ফিরিয়ে আনব অন্য বাড়ী থেকে
এ বাড়ীর চৌকাঠ পেরিয়ে
আমারই মনে ছুটবে সে।